প্রকাশিত: Sat, Jun 1, 2024 3:49 PM
আপডেট: Sun, Jun 22, 2025 12:42 AM

দুর্নীতিবাজদের পরিবারের সদস্যদের আহ্বান, আয়কারীর আয়ের সীমার খোঁজখবর রাখবেন

গোলাম সারোয়ার

মানুষ দুই কারণে দুর্নীতি করে। একটা হলো অভাবে। মানে যখন তার আয় দিয়ে ব্যয় মিটে না তখন। এটি কঠিন ব্যাপার। এটি রোধ করা অনেকটা কঠিন। প্রবল ব্যক্তিত্ব লাগবে ব্যক্তির এবং তার পরিবারের এটি রোধ করতে। সে ক্ষেত্রে ব্যয় কমিয়ে সে সৎ থাকবে। এতে তার কষ্ট হবে, কিন্তু সৎ থাকার সে স্বর্গীয় আনন্দ আছে, সেটা সে উপভোগ করবে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রেরও দায়িত্ব আছে। রাষ্ট্র মূল্যস্ফীতির সাথে সমন্বয় রেখে মানুষের ক্ষতিপূরণ দেবে। দ্বিতীয় যে কারণে মানুষ দুর্নীতি করে সেটা হলো অর্থ সম্পদের নেশা। এটার কোনো সীমা নেই। একটা মিনিয়ন, বিলিয়ন, ট্রিলিয়ন কিংবা কোয়াড্রিলিয়নেও থামবেনা। এই নেশা কাউকে পেয়ে বসলে তাকে পুরো গুলশান দিয়ে দিলে সে তারপর চাইবে  বনানী, বাংলাদেশ দিয়ে দিলে তারপর যদি তার শক্তি থাকে তবে সে আকাক্সক্ষা করবে ইন্ডিয়া। মানে শেষ নেই।  

নেশাখোর দুর্নীতিবাজের দুর্নীতির কারণে তার পরিবারকে দণ্ড দেওয়া পুরোটা ন্যায় নয়। কারণ এতটা করতে তারা তাকে প্রলুব্ধ নাও করতে পারে। তাছাড়া তাদের প্রতিষ্ঠানিক ট্রেনিংও নেই। তারা যে ওই ব্যক্তির কারণে সোসাইটিতে অপমান হয়, সেটাও করুণ। 

তাদের ব্যাপারে পুনচিন্তা করতে হবে যারা দুর্নীতিতে সরাসরি জড়িত নয়। তবে দুর্নীতিবাজদের পরিবারের সদস্যদের আমরা আহ্বান করবো আপনারা আয়কারীর আয়ের সীমার খোঁজখবর রাখবেন। তাদের আয়ে তারা কতটা করতে পারবে তা অনুমান করবে না। যদি সেটা অস্বাভাবিক হয় তবে আপনাদের উচিত হবে না সেসব সম্পদ আপনাদের নামে ইস্যু করতে কোঅপারেট করা। সেক্ষেত্রে দুর্নীতি না করেও আপনারা জড়িত হয়ে পড়তে পারেন। পাইকারী দুর্নীতিবাজদের বলবো, আপনার নেশার কারণে পরিবারকে বিপদে ফেলবেন না। মানুষ কিন্তু ঠিকই বোঝে কার আয়ে কে কতটুকু যেতে পারে। আপনি যা করছেন মানুষ কিন্তু ঠিকই মনিটর করছে। সময় মতো তারা রায় দিবে।  লেখক: কলামিস্ট